‘হিজড়া লিঙ্গ গেজেট’ আইন আকারে শিগগিরই সংসদে যাবে

https://www.banglatribune.com/others/653466/%E2%80%98%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%9F%E2%80%99-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87

‘হিজড়া লিঙ্গ গেজেট’ আইন আকারে প্রকাশের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী অরোমা দত্ত। জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বিলটি সংসদে তোলার ব্যবস্থা করবেন বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনের হল রুমে ‘লায়লা হিজড়া স্মৃতিপদক-২০২০’ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর আত্ম-স্বীকৃতি, অধিকার রক্ষা এবং জীবনমান উন্নয়নে গুরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য হিজড়া গুরু ববি হিজড়ার হাতে ‘লায়লা হিজড়া স্মৃতি পদক-২০২০’ তুলে দেন অরোমা দত্ত।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ‘মানুষের জন্য’ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে থেকে যারা ভালো সামাজিক কাজ করছেন সেগুলো তুলে ধরা খুব দরকার।’
‘তবে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে সাংবিধানিক যে অধিকার দিয়েছে এটা কেউ নিতে পারবে না। আর যেমন করে হোক, নীতি নির্ধারকের কাছে, সমাজের কাছে এবং পাবলিক ইনস্টিটিউশনসহ সবার কাছ থেকে ন্যায্য অধিকার অর্থ্যাৎ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানসহ মৌলিক অধিকার আদায় করে নিতে হবে। একইসঙ্গে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
ট্রান্সজেন্ডার ডে অব রিমেমব্রেন্স উপলক্ষে ‘লায়লা হিজড়া স্মৃতিপদক ২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু)। অনুষ্ঠানের সভাপতি বন্ধুর চেয়ারপারসন আনিসুল ইসলাম হিরু বলেন, ‘১৯৯৬ সালে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি কাজ করে, আর হিজড়া জনগোষ্ঠীর পরিবর্তন আনা আমাদের বড় একটি অর্জন।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর স্বীকৃতি ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে, বিশেষ করে এইচআইভি এইডস প্রতিরোধে ৯০-এর দশক থেকে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন লায়লা হিজড়া। ২০০৮ সালে তিনি মারা যান। লায়লা হিজড়ার অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে এই স্মৃতিপদকের আবর্তন করা হয়।